সর্বশেষ

Thursday, June 22, 2017

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চান্দিনায় কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি?

সাদেক হোসেন: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা ও আংশিক বরুড়া) আসনেও নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ আসনে কে হবেন নৌকার মাঝি?-এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
এ আসনে আওয়ামীলীগ মানেই সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি। আওয়ামীলীগের ব্যানারে পরপর পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামীলীগ তথা নৌকার বৈঠা ধরে রাখতে চান তিনি। তবে তার পাশাপাশি নৌকার মাঝি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এক নারীসহ আরও একাধিক প্রার্থী। কেউ প্রকাশ্যে আবার কেউবা পর্দার আড়ালে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছেন।
এমপি আলী আশরাফের পাশাপাশি আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নাজনীন আক্তার। 
আগামী নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ বিশ্বাসী তিন প্রার্থীর সমর্থকেরা। কেউ বলছেন, দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশ পেয়ে গণসংযোগে নেমেছেন আবার কেউ বলছেন দল আমাদের প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিবেন। এমন নানা যুক্তিতে ইতিমধ্যে চান্দিনার আওয়ামীলীগ রাজনীতি অঙ্গনে নেতা-কর্মীদের মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও চলছে প্রার্থীদের পক্ষে নানা প্রচারণা। সাথে বেনামি আইডি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্যকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। কেউ অধ্যাপক আলী আশরাফ এর পক্ষে আবার কেউবা  ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের পক্ষ নিয়ে তাদের ফেইসবুক একাউন্টে  স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। আর পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে চান্দিনাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোষ্টার, লিফলেট ও স্টিকার সাঁটিয়ে নিজের প্রচারণার জানান দিচ্ছেন অন্যান্য প্রার্থীরা।
মনোনয়নের বিষয়ে কোন কথাই বলতে রাজী নন সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি। তিনি বলেন, আমি কারও হাত ধরে রাজনীতি করি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে আওয়ামীলীগের সাথে আছি, থাকবো ইনশাল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে দলের সকল নেতৃবৃন্দই আমাকে চিনেন। আমার সম্পর্কেও জানেন। আমি লোভ-লালসা কিংবা নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথানত করিনি সামনের দিনগুলোতে করবোও না। 
চান্দিনায় আওয়ামীলীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৬২সালে ছাত্রলীগ করি। তারপর থেকে জীবন বাঁজি রেখে দেশ মাতৃকার টানে নিজেকে বিলিয়ে দেই।
এসময় তিনি বলেন, দুর্দিনে চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের জন্য কি করেছি আর কি করিনি তা চান্দিনাবাসী ভালো জানেন। সু-শিক্ষিত চান্দিনা গড়তে উপজেলার আনাচে-কানাচে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। জীবনের যা অর্জন করেছি তার সবটুকুই চান্দিনাবাসীর উন্নয়নে উৎসর্গ করেছি।
এদিকে মুখ খুলতে নারাজ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। অল্প কথায় বুঝিয়ে দিলেন এখনও সময় হয়নি আলোচনায় আসার।
দল থেকে মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক নাজনীন আক্তার জানান, দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলকে সু-সংগঠিত করতে প্রতিটি নির্বাচনে তরুন প্রজন্মকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। অপরদিকে নারী অধিকার শতভাগ বাস্তবায়নে রাজনীতি অঙ্গনেও নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া চান্দিনাবাসীও পরিবর্তন চাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালবাসায় মনোনয়ন পাওয়ার শতভাগ প্রত্যাশা রয়েছে। আর দলীয় মনোনয়ন পেলে চান্দিনায় নৌকার অভাবনীয় বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাল্লাহ। 
সম্ভ্যাব্য প্রার্থীদের সমর্থকেরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলার অলিতে-গলিতে। চান্দিনার আওয়ামী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কেউ ধরে রেখেছেন প্রবীন নেতার হাতের আঙ্গুল আবার কেউবা আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনাময় নতুন নেতার দ্বারস্থ হচ্ছেন। তবে আগামী নির্বাচনে কে পাচ্ছেন দলীয় টিকেট তা নিয়ে সংশয়ে আছেন আওয়ামী আদর্শে বিশ্বাসী সাধারণ ভোটারেরা।

No comments:

Post a Comment

Adbox